Saturday, April 19, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

নারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে আফগানিস্তান?

  • আইসিসি’র ওপর এবার হিউম্যান রাইটস ওয়াচের চাপ
  • টেস্ট মর্যাদার শর্ত হলো, নারী ক্রিকেটের কার্যক্রমও চালু থাকা
আপডেট : ১০ মার্চ ২০২৫, ০৪:০৯ পিএম

২০২১ সালে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে দেশটিতে নারীদের ক্রিকেট নিষিদ্ধ রয়েছে। নারী দলের ওপর এই নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটির পুরুষ দলও আন্তর্জাতিকভাবে চাপের মুখে পড়ছে। বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছে মোহাম্মদ নবি-রশিদ খানদের বয়কটের ডাক। এবার আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইসিসিকে অনুরোধ জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।

শুক্রবার (৭ মার্চ) আইসিসি সচিব জয় শাহকে লেখা এক চিঠিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কড়া ভাষায় আইসিসিকে আফগানিস্তানের সদস্যপদ স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছে।

শিক্ষা ও খেলাধুলায় নারীদের অংশগ্রহণের ওপর তালেবানের বিধিনিষেধের কারণে আইসিসির কাছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (এসিবি) সদস্যপদ স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।

চিঠিতে এইচআরডব্লিউ দাবি জানিয়েছে, নারী ও মেয়েরা খেলাধুলায় অংশগ্রহণের অধিকার ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত আফগানিস্তানকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করতে হবে।

জাতিসংঘের ব্যবসা ও মানবাধিকার বিষয়ক নির্দেশিকা নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি মানবাধিকার নীতি বাস্তবায়নের জন্যও আইসিসির কাছে অনুরোধ জানিয়েছে এইচআরডডব্লিউ।

 

চিঠিতে এইচআরডিব্লিউ লিখেছে, “আমরা এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলে (আইসিসি) আফগানিস্তানের সদস্যপদ ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ থেকে তাদের নিষিদ্ধ করার জন্য আইসিসিকে অনুরোধ করছি। যতক্ষণ পর্যন্ত না নারী ও মেয়েরা আবার দেশে শিক্ষা ও খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করতে পারে ততক্ষণ এই আদেশ বহাল থাকুক। আমরা আইসিসিকে ব্যবসা ও মানবাধিকার সংক্রান্ত জাতিসংঘের নির্দেশিকা নীতিমালার ওপর ভিত্তি করে একটি মানবাধিকার নীতি বাস্তবায়নের জন্যও অনুরোধ করছি।”

২০২৮ সালে লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে যুক্ত করা হয়েছে ক্রিকেট। নারীদের ক্রিকেটে অংশগ্রহণের ওপর তালেবানের বিধিনিষেধ সরাসরি অলিম্পিক সনদের লঙ্ঘন করে বলেও মনে করিয়ে দিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।

বর্তমানে আফগান নারী দলের বেশিরভাগ সদস্য অস্ট্রেলিয়ায় শরণার্থী হিসেবে অবস্থান করছে। কিছুদিন আগে তারা একটি প্রীতি প্রদর্শনী ম্যাচও খেলেছে। আফগান পুরুষ ক্রিকেট দল আর্থিক এবং লজিস্টিক সহায়তা পেলেও সম্পূর্ণ উপেক্ষিত হচ্ছে নারীরা। এর আগে ১৯৯৯ সালের অক্টোবরে, তালেবানের পূর্ববর্তী শাসনামলে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি আফগানিস্তানের জাতীয় অলিম্পিক কমিটিকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত স্থগিত করেছিল। তখনও নারীদের খেলাধুলায় বাধা দেওয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, আইসিসির আইন অনুযায়ী টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার শর্ত হলো, সে দেশে ছেলেদের পাশাপাশি নারী ক্রিকেটের কার্যক্রমও চালু থাকতে হবে। তবে এসব কিছুকে এড়িয়েই চলছে আফগানিস্তান ক্রিকেট। দেশটির শাসনব্যবস্থায় থাকা তালেবান দেশটির নারীদের জন্য সব ধরনের খেলাধুলা নিষিদ্ধ করেছে।

   

About

Popular Links

x