আইপিএলে অস্ট্রেলিয়ান তারকা ব্যাটার ট্রাভিস হেড এখন পর্যন্ত দুই দলের হয়ে খেলেছে। ২০১৭ ও ২০১৭ মৌসুমে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুতে (আরসিবি) কাটানো হেড এখন হায়দরাবাদের হয়ে খেলছেন। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ আলোচনায় থাকেন এই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার। এবার ঠিক অন্য কারণেই সমালোচনায় তিনি।
মোবাইল অ্যাপভিত্তিক পরিবহন পরিষেবা কোম্পানি উবার সম্প্রতি একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে। ৫৮ সেকেন্ডের ওই ভিডিও প্রায় ১৪ লাখ বার দেখা হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, উবার চালককে সঙ্গে নিয়ে ট্রাভিস হেড একটি স্টেডিয়ামে যান (যেটিকে বেঙ্গালুরুর ঘরের মাঠ এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম বোঝানো হয়েছে)। সেখানে বেঙ্গালুরুর-হায়দরাবাদ ম্যাচ হওয়ায় কথা। বিজ্ঞাপনের শুরুতে হেডকে বলতে শোনা যায়, ‘‘বেঙ্গালুরু, তোমরা কি হেডেকের (মাথাব্যথা) জন্য প্রস্তুত?’’ এরপর স্টেডিয়ামের গেটে গিয়ে পাহারাদারদের জানান, তিনি একজন সম্প্রচারকর্মী। এই কথা বলে তিনি স্টেডিয়ামের ভেতরে ঢুকে পড়েন।
এরপর সঙ্গে নিয়ে আসা স্প্রে পেইন্টিং বের করে বেঙ্গালুরুর নামের ওপর ‘‘রয়্যালি চ্যালেঞ্জড’’ লিখে দেন হেড। পাহারাদাররা সেটি বুঝতে পেরে হেড ও তার এক সঙ্গীকে তাড়া করেন। বিপদ আঁচ করতে পেরে হেড সঙ্গে সঙ্গে দৌড়ে স্টেডিয়াম ত্যাগ করেন এবং বাইরে অপেক্ষারত উবারের বাইকে চড়ে পালিয়ে যান। পালিয়ে যেতে যেতে হেড বলেন, ‘আমি ট্রাভিস হেড এবং আমরা হায়দ্রাবাদি।’’
বিজ্ঞাপনটি দেখার পর আরসিবির মালিকপক্ষের অভিযোগ উবার তাদের ব্র্যান্ডকে নিয়ে উপহাস করেছে। এ কারণে তারা দিল্লির উচ্চ আদালতে উবারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের।
আরসিবির আইনি প্রতিনিধি শ্বেতশ্রী মজুমদারের দাবি, আরসিবির ব্র্যান্ডকে ছোট করতেই ইচ্ছাকৃতভাবে এমন বিজ্ঞাপন বানানো হয়েছে। এটা করতে উবার বেঙ্গালুরুর সাবেক ক্রিকেটার ট্রাভিস হেডকে ব্যবহার করেছে। শ্বেতশ্রী মজুমদার আদালতকে আরও জানিয়েছেন, আরসিবির অনুমতি না নিয়েই উবার তাদের স্লোগান বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করেছেন।
এ ঘটনার পর উবার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কারও অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার জন্য এই বিজ্ঞাপনটি তৈরি করা হয়নি। বিজ্ঞাপনে বেঙ্গালুরু শহরের যানজটের কথা বলা হয়েছে, বিরাট কোহলি-রজত পতিদারদের দলের কথা বলা হয়নি। উবারের বিরুদ্ধে মামলা করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ভারতীয় জনগণের রসবোধকে বাজেভাবে অবমূল্যায়ন করেছে। এটি একটি সৃজনশীল বিজ্ঞাপন। এর মাধ্যমে কারও ক্ষতি করা হয়নি।
তবে আদালত দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শোনার পর এখনও কোনো রায় ঘোষণা করেননি।