তুমুল বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতার মধ্যেই ঢাকায় পশু কোরবানি করেছেন নগরবাসী। এর ফলে জলাবদ্ধতা ও কোরবানির পশুর বর্জ্যজনিত দুর্ভোগ পোহাতে হবে নগরবাসীকে। এই দুই সমস্যা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন ঢাকার দুই মেয়র।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদ-উল-আজহার প্রধান জামাত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এই আশ্বাস দেন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির মেয়র।
দক্ষিণের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, “ঈদের দিনে তৈরি হওয়া বর্জ্য অপসারণে দক্ষিণ সিটির সাড়ে ৩০০ সরঞ্জাম কাজ করবে। আশা করছি, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আজ তৈরি হওয়া পশুর বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হবে।”
ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, তার সিটি কর্পোরেশনে ১১ হাজার কর্মী নিযুক্ত রয়েছে কোরবানির বর্জ্য সরানোর কাজে।
পাশাপাশি বর্জ্য অপসারণে নগরবাসীরও সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে ঈদুল আজহা উদযাপন হচ্ছে। ঈদের নামাজ শেষে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে পশু কোরবানি দিচ্ছে মুসলমান সম্প্রদায়।
ঈদের দিনে বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। তারা জিানিয়েছিল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির মধ্যেই ঢাকা মহানগরীতে মসজিদগুলোতে সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈদের নামাজ।
ভোররাত থেকে প্রবল বর্ষণের কারণে ঢাকার সড়কের নিচু অংশগুলো ডুবে গেছে। অলিতে-গলিতে হাঁটু পানি জমায় ড্রেনের ময়লা উপড়ে উঠে আসছে। এর মধ্যেই বাসা-বাড়িতে গাড়ি রাখার গ্যারেজগুলোতে পশু কোরবানির কারণে সেই রক্ত আর বর্জ্য মিশে পানিও রক্তবর্ণ ধারণ করছে।
ফলে রাস্তায় বের হওয়া মানুষদের পড়তে হচ্ছে বিপাকে। এছাড়া রাস্তার ধারে যারা পশু কোরবানি করছেন, মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যে ভিজে সেই কাজ করতে হচ্ছে।