কক্সবাজারে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব বৌদ্ধ পূর্ণিমা।
এ উপলক্ষ্যে বুধবার (২২ মে) সকালে জেলার বিভিন্ন বৌদ্ধবিহার ও বৌদ্ধ পল্লী ছাড়াও উখিয়া উপজেলায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ একটি শান্তি শোভাযাত্রা বের করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই কক্সবাজারের বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার ও পল্লীতে বুদ্ধপূজা, শীলগ্রহণ, পিন্ডদান, ভিক্ষু সংঘের প্রাতরাশের আয়োজন করা হয়। এছাড়া দুপুরে জ্ঞাতিভোজনসহ বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে দিনটি পালন করা হয়।
বৌদ্ধদের বিশ্বাস, খ্রিস্টপূর্ব ৬২৩ অব্দের এ দিনে গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেন, ৫৮৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দের এ দিনে তিনি বোধিলাভ করেন এবং ৫৪৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দের এ দিনে তিনি নির্বাণ লাভ করেন।
সিদ্ধার্থের বুদ্ধত্বলাভের মধ্য দিয়েই বৌদ্ধধর্ম প্রবর্তিত হয়। তার আবির্ভাব, বোধি লাভ ও নির্বাণ- তিন ঘটনাই বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে ঘটেছিল বলে একে বলা হয় “বুদ্ধ পূর্ণিমা”।
বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে সবচেয়ে বড় “শান্তি শোভাযাত্রা” অনুষ্ঠিত হয়েছে উখিয়া উপজেলায়। শতাধিক গাড়ির বহর নিয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ এ শোভাযাত্রায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের হাজারো নারী-পুরুষ অংশ নেন।
শোভাযাত্রাটি উখিয়ার কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয় এলাকা থেকে শুরু হয়ে মরিচ্যা স্টেশন পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার এলাকা ঘুরে কোটবাজার কেন্দ্রীয় মহাশ্মশান ভাবনা বৌদ্ধ বিহারে গিয়ে শেষ। পরে সেখানে সদ্ধর্ম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উদযাপন কমিটির সভাপতি শ্রীমৎ জ্যোতি লংকার মহাথেরো ও সাধারণ সম্পাদক মেধু বড়ুয়া জানান, দিনটি পালন উপলক্ষে মঙ্গলবার হয়ে গেছে ভিক্ষু-সংঘের সংক্রমণ, সূত্রপাঠ ও শ্রবণ, উপোসথ গ্রহণ এবং ধ্যান চর্চা।
এদিকে, বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে কক্সবাজার শহরের অগ্গমেধা ক্যাংসহ রাখাইন পল্লী ও রামু উপজেলার ঐতিহাসিক রামকুট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহার ছাড়াও জেলার বিভিন্ন বৌদ্ধ পল্লীতে বর্ণাঢ্য আয়োজন করা হয়।