সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার সতোয়া জলমহালে দ্বিতীয় দফা মাছ লুট করার চেষ্টার সময় পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীর ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ মাছ লুটে বাধা দেওয়ায় লোকজন ফিরে যাওয়ার সময় জলমহালের দু্ইটি ছাউনি ঘরে আগুন ধরিয়ে যায়।
এর আগে, মঙ্গলবার হাজার হাজার মানুষ একসঙ্গে জড়ো হয়ে প্রথম দফায় লুটে নেয় জলমহালের প্রায় দুই কোটি টাকার মাছ।
শুক্রবার (৭ মার্চ) সকালে দিরাই ও শাল্লা উপজেলায় অবস্থিত সতোয়া জলমহালে দ্বিতীয় দফায় মাছ লুটপাট করতে না পারায় দুইটি খলায় (ছাউনি ঘর) আগুন ধরিয়ে দেয় গ্রামবাসী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ভোরে দ্বিতীয় দফায় সতোয়া জলমহালের মাছ লুট হবে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেই জলমহালে অবস্থান নেয় দিরাই থানা পুলিশ, শাল্লা থানা পুলিশ, সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসন। পরে সেখানে বাঁশ, জাল, পলোসহ উপস্থিত হয় শ্যামারচর, ললোয়ারচর, মাইতি, কার্তিকপুরসহ প্রায় ১৫ থেকে ২০ গ্রামের মানুষ। পুলিশ, সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসন মাইকিং করে তারা কেউ যেন জলমহাল লুট না করে সেজন্য অনুরোধ জানায়। কিন্তু এতে বিপরীত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। সেখানে জড়ো হওয়া মানুষ মাছ লুট করতে না পেরে জলমহালের দুটি খলায় আগুন ধরিয়ে দেয়।
শাল্লা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “সতোয়া জলমহালটি লুট করার জন্য ৬ থেকে ৭ হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিল। কিন্তু আজকে সকাল থেকে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থানে ছিল। সেজন্য এই জলমহালটিতে জড়ো হওয়া মানুষ লুটপাট করতে পারেনি। সেই ক্ষোভে জলমহালের দুটি খলায় তারা যাওয়ার সময় আগুন ধরিয়ে যায়। তবে এখন সব কিছু পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।”