চিনি তো কমবেশি আমরা সবাই খাই। তবে সেটা পরিমাণমতো খাচ্ছি কি না সেটা হয়তো অনেকেই খেয়াল রাখেন না। অত্যধিক চিনি আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। অনেক সময় আমরা বুঝতেও পারি না যে আমাদের মাত্রাতিরিক্ত চিনি খাওয়া হয়ে যাচ্ছে। পুষ্টিবিদ নেহা সাহায়া সম্প্রতি ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা লক্ষণের ব্যাপারে বলেছেন, যেগুলো দেখা দেওয়া মানে আপনি অতিরিক্ত চিনি গ্রহণ করছেন।
চলুন জেনে নেওয়া যায় সেই লক্ষণগুলো সম্পর্কে।
১. হঠাৎ এনার্জি পাওয়া আবার হঠাৎ করেই ক্লান্ত লাগার মতো ব্যাপারগুলো বারবার ঘটতে থাকার একটি কারণ হতে পারে এই অতিরিক্ত চিনি খাওয়া। শর্করাযুক্ত খাবার খাওয়ার পরই দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি অনুভব হয়, তারপরে হঠাৎ করেই আবার ক্লান্তি ভর করে। এই অনিয়মিত শক্তির মাত্রা গ্লুকোজের মাত্রার ওপর চিনির প্রভাবের ফল। রক্তে শর্করা দ্রুত বৃদ্ধি শক্তি বাড়িয়ে দেয়, কিন্তু ইনসুলিন যেহেতু গ্লুকোজ কমাতে কাজ করে সেহেতু দ্রতই শরীর দুর্বল হতে থাকে, ক্লান্ত লাগতে থাকে।
টানা ৩০ দিন চিনি না খেলে যেসব উপকার পাওয়া যাবে২. মুখ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ফোলা দেখাচ্ছে? এটি অত্যধিক চিনি খাওয়ার লক্ষণ হতে পারে। চিনি পানি ধরে রাখতে পারে, যার ফলে মুখ এমন ফোলা দেখায়। চিনি খাওয়া কমানো এবং হাইড্রেটেড থাকা এই সমস্যা দূর করতে সাহায্য করতে পারে।
৩. চিনি শুধু শারীরিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে না, এটি মানসিক সুস্থতাতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। রক্তে শর্করার মাত্রার দ্রুত ওঠানামা মেজাজের পরিবর্তন, বিরক্তি এবং উদ্বেগের কারণ হতে পারে। যখন রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়, তখন মানুষ আনন্দিত বোধ করে। কিন্তু এটি কমতে শুরু করার পর বিষণ্ণতা বা বিরক্তির অনুভূতি হওয়া শুরু হয়।
৪. অতিরিক্ত চিনি পরিপাকতন্ত্রের কাজকে ব্যাহত করতে পারে। পেট ফুলে যাওয়া বা ফেঁপে যাওয়া এবং অস্বস্তি হতে পারে অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার ফলে। শর্করা, বিশেষ করে যেগুলো প্রক্রিয়াজাত খাবারে পাওয়া যায়, তা অন্ত্রে গাঁজন করতে পারে। যার ফলে গ্যাস হয় এবং পেট ফুলে যায়।
৫. উচ্চমাত্রায় চিনি খেলে ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। চিনিযুক্ত খাবার খাওয়া, বিশেষ করে ঘুমানোর আগে খাওয়ার কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটার ঝুঁকি থাকে। কারণ চিনি রক্তে শর্করার মাত্রায় ওঠানামা করে, ফলে অস্থিরতা বাড়তে থাকে এবং ঘুমেরেও অসুবিধা হতে পারে।
