লালন পালনের খরচ ব্যয়বহুল হওয়ায় দুটি জায়ান্ট পান্ডা চীনে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিনল্যান্ড। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
২০১৮ সালে লুমি এবং পিরি নামের পান্ডা ২টিকে ফিনল্যান্ডে পাঠিয়েছিল চীন। তবে ফিনল্যান্ডের আহতারি চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১৫ বছর এখানে থাকার কথা থাকলেও দেখভালের চড়া খরচ কুলাতে না পারায় আগামী নভেম্বরই তাদের আবার চীনে ফেরত পাঠানো হবে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা অর্থনৈতিক সংকট, মহামারির ফলে ঋণ এবং মুদ্রাস্ফীতির কারণে পান্ডাদের দেখাশোনার খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন। পান্ডাদের যত্ন নিতে প্রতি বছর ১.৫ মিলিয়ন ইউরো ব্যয় হয় এবং তাদের বাসস্থান তৈরিতে ৮ মিলিয়ন ইউরো খরচ হয়েছে।
চিড়িয়াখানার কিউরেটর মারহকো হাইকস্কি বলেন, “পান্ডাদের জন্য খরচ এখানের অন্য সব প্রাণীর চেয়ে অনেক বেশি। তাদের দেখভাল করতে সার্বক্ষণিক ১ জনকে নিয়োজিত রাখতে হয়—তার বেতন; চীনের সংরক্ষণ ফি এবং পান্ডার খাবার হিসেবে চীন থেকে আমদানি করা বাঁশ, সব মিলিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা খরচ হয়।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম পান্ডাগুলো বেশি বেশি দর্শনার্থী আকর্ষণ করবে, কিন্তু বাস্তবে সেটা হয়নি।” পান্ডা দুটি ফেরত পাঠানোর আগে ১ মাসের জন্য কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে বলে জানান তিনি।
ফিনল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১ জন মুখপাত্র বলেছেন, “পান্ডাদের ফেরত পাঠানো কেবল একটি ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত, এর সঙ্গে সরকার সম্পৃক্ত নয়। এটি ফিনল্যান্ড ও চীনের সম্পর্ক প্রভাবিত করবে না।”
ফিনল্যান্ডের চীনা দূতাবাসও বলেছে, সাহায্যের চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত পান্ডাগুলো ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, চীন বিভিন্ন দেশে পান্ডা পাঠিয়ে তাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং বৈশ্বিক ভাবমূর্তি শক্তিশালী করতে “পান্ডা কূটনীতি” ব্যবহার করে।