অনেকেই আছেন, যারা অন্যের ভুলকে নিজের ভুল বলে মনে করেন। অন্যের আবেগের বোঝা নিজের কাঁধে নিয়ে বসেন। অন্যদের প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারার জন্য নিজেকে দোষারোপ করেন। অন্যদের ভালো লাগা না লাগার ওপর নির্ভর করে তাদের নিজের জীবনের সিদ্ধান্তগুলো। আর যদি আপনি প্রায়ই এইসব কাজ করতে থাকেন, তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কিছু উপদেশ যা আপনার মনের বোঝা হালকা করতে পারে এবং আপনার মনে শান্তি আনতে পারে।
অন্যদের কাছে নিজের মূল্য প্রমাণ করা
আপনার কারও কাছে নিজের মূল্য প্রমাণ করতে হবে না, বিশেষ করে যারা আপনাকে দেখতে বা আপনার প্রশংসা করতে চায় না। আপনার মূল্যের জন্য অন্য কারও প্রশংসা বা স্বীকৃতির প্রয়োজন নেই। যখন আপনার এমন লোকদের কাছ থেকে অনুমোদন পেতে চেষ্টা করেন যারা আপনার মূল্য বোঝে না, তখন এটি কেবল আপনার শক্তিই নষ্ট করে। বরং নিজেকে এমন লোকদের সঙ্গে রাখুন, যারা আপনার প্রশংসা করে এবং আপনাকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করে। সঠিক মানুষরা আপনার মূল্য বুঝতে পারবে।
অন্যদের সুখী করার দায়িত্ব আপনার নয়
তাই তাদের সুখের কারণ হতেই পারেন, কিন্তু প্রকৃত সুখ তাদের ভেতর থেকেই আসে। আপনি অন্য কারও সুখের বোঝা বহন করতে পারেন না, আর তাদের দুঃখ দূর করার জন্যও আপনার বাধ্যবাধকতা বোধ করা উচিত নয়। প্রথমে নিজের সুখের দিকে মনোনিবেশ করুন এবং অন্যদের তাদের নিজস্ব শান্তি নিজেদেরই খুঁজে পেতে দিন।
অন্যদের প্রত্যাশা পূরণ করা
আপনি সবার কাছে সবকিছু হতে পারবেন না। সবসময় সবার প্রত্যাশা পূরণ করা সম্ভব নয়, এবং তা করার চেষ্টা করলে কেবল হতাশা এবং বিরক্তিই বাড়ে। এটা গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি সীমা নির্ধারণ করুন এবং স্পষ্ট করে বলুন যে আপনি অন্য কাউকে কতটা দিতে পারেন এবং কতটা দিতে পারবেন না।
সবাইকে মতে মত দেওয়ার প্রয়োজন নেই
অন্যদের সঙ্গে একমত হওয়া আপনার কাজ নয়। তাতে যদি তারা বিভ্রান্ত হন, তাহলে তাই হোক। আমাদের সকলের জীবনে বিভিন্ন চিন্তাভাবনা এবং অভিজ্ঞতা থাকে যা আমাদের সিদ্ধান্তগুলোকে প্রভাবিত করে। গ্রহণযোগ্যতা এবং বৈধতা চাওয়া স্বাভাবিক, কিন্তু মেনে নিতে হবে যে সবাই আপনাকে বুঝতে পারবে না। আপনার পছন্দ আপনার মূল্যবোধ এবং অগ্রাধিকারগুলোকে প্রতিফলিত করে এবং অন্যরা সেগুলো না বুঝলেও কিছু যায় আসে না, গুরুত্বপূর্ণ হল যে আপনার নিজের প্রতি সৎ থাকুন।
অন্য কারও আবেগ সামলানো
আপনি কাউকে আবেগগতভাবে সাহায্য করতে পারেন, কিন্তু তাদের অনুভূতি সামলানোর জন্য আপনি দায়ী নন। প্রত্যেকেই তাদের নিজস্ব অনুভূতি এবং প্রতিক্রিয়ার জন্য দায়ী। অন্যদের সান্ত্বনা দিতে চাওয়া স্বাভাবিক, কিন্তু তাদের অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ বা ঠিক করার চেষ্টা করলে বিরক্তি তৈরি হতে পারে। সহানুভূতিশীল হওয়া এবং মনোযোগ সহকারে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ, তবে অন্যদেরও তাদের নিজস্ব অনুভূতি পরিচালনার দায়িত্ব নিতে হবে।