বাংলাদেশের আধুনিক সাংবাদিকতার পথপ্রদর্শক “দৈনিক আজকের কাগজ”-এর প্রকাশক ও সম্পাদক, জেমকন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা কাজী শাহেদ আহমেদ আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সোমবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাজী শাহেদ আহমেদের মেজো ছেলে কাজী আনিস আহমেদ।
কাজী শাহেদ আহমেদের বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি স্ত্রী ও তিন ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার স্ত্রী আমিনা আহমেদ বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী। বড় ছেলে কাজী নাবিল আহমেদ যশোর-৩ (সদর) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। মেজো ছেলে কাজী আনিস আহমেদ অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউন ও ইংরেজি দৈনিক ঢাকা ট্রিবিউনের প্রকাশক। ছোট ছেলে ইনাম আহমেদ জেমকন গ্রুপের পরিচালক।
আজকের বাংলাদেশে প্রকাশিত পত্রিকায় যে আধুনিকতার উপস্থিতি, তার শুরুই হয়েছিল কাজী শাহেদ আহমেদের সম্পাদনায় প্রকাশিত “আজকের কাগজ” পত্রিকার মাধ্যমে। মুক্তমত ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে এই সংবাদপত্র অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।
১৯৪০ সালের ৭ নভেম্বর যশোরে জন্মগ্রহণ করেন কাজী শাহেদ আহমেদ। ইঞ্জিনিয়ারিং পাসের পর তিনি ১৪ বছর সেনাবাহিনীতে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ মিলিটারি অ্যাকাডেমির প্রতিষ্ঠাকালীন প্লাটুন কমান্ডারদের একজন।
১৯৭৯ সালে “জেমকন গ্রুপ” প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে তার ব্যবসায়িক জীবন শুরু। প্রকাশক ও সম্পাদক ছিলেন “খবরের কাগজ” ও “আজকের কাগজ”-এর। বাংলাদেশে প্রথম অর্গানিক চা বাগানের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। তার অলাভজনক উদ্যোগের মধ্যে আছে “ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ” ও “কাজী শাহেদ ফাউন্ডেশন”।
সাহিত্য পরিমণ্ডলেও তিনি সুপরিচিত। কাজী শাহেদ আহমেদের প্রথম গ্রন্থ “আমার লেখা” ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত হয়। সে বছরই “ঘরে আগুন লেগেছে” বইটিও প্রকাশিত হয়। ২০১৩ সালে তার ৭৩ বছর বয়সে প্রথম উপন্যাস “ভৈরব” প্রকাশিত হয়। আত্মজীবনী “জীবনের শিলালিপি” প্রকাশিত হয় ২০১৪ সালে। একই বছর প্রকাশিত হয় উপন্যাস “পাশা”। ২০১৭ সালে প্রকাশিত হয় উপন্যাস “দাঁতে কাটা পেনসিল”। ২০১৮ সালে প্রকাশিত হয় উপন্যাস “অপেক্ষা”।
