ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের হত্যাকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, “প্রায় সব কিছু চিহ্নিত হয়েছে। আমাদের শুধু ঘোষণাটা বাকি। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা একমত হতে পারলে ঘোষণা দেব।”
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা এখনো তদন্ত করছি। তদন্তের প্রয়োজনে ভারতের একটি দল এখানে (বাংলাদেশে) আসবে। প্রয়োজনে আমাদের একটি দলও সেখানে (ভারত) যাবে।”
এখনো আনোয়ারুল আজীমের মরদেহ উদ্ধার হয়নি বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এখনো মরদেহ উদ্ধার করা যায়নি। আপনারা যা শুনেছেন, আমরাও সেগুলোই শুনেছি। যে পর্যন্ত মরদেহ উদ্ধার করতে না পারব, সে পর্যন্ত অফিসিয়ালি আপনাদের কিছু বলতে পারছি না। এ বিষয়ে দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে।”
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম (আনার) কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। গত ১১ মে তিনি চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। প্রথমে কলকাতার বরাহনগরে তার বন্ধু স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন। কিন্তু সেখান থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন। এরপর স্থানীয় থানায় জিডি করেন গোপাল বিশ্বাস। তদন্ত শুরু হয় দুই দেশে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল জানান, আনোয়ারুল আজীম কলকাতায় খুন হয়েছেন। বাংলাদেশিরাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ সিআইডির আইজি অখিলেশ চতুর্বেদী সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, “যে ফ্ল্যাটে আনারকে হত্যা করা হয়েছে, সেই ফ্ল্যাটের মালিক সন্দ্বীপ রায়। তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর্মচারী। ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়েছিলেন আখতারুজ্জামান নামে এক ব্যক্তি, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
এদিকে ঢাকার পুলিশ জানিয়েছে, আখতারুজ্জামান ভারত থেকে নেপাল হয়ে ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছেন বলে তারা খবর পেয়েছে। আখতারুজ্জামানের বাড়ি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর এলাকায়। স্থানীয়ভাবে তিনি “শাহীন মিয়া” নামে পরিচিত। তার ভাই কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র সহিদুজ্জামান।