ভারতের কলকাতায় হত্যাকাণ্ডের শিকার ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বলেছেন, “হত্যার পরিকল্পনাকারীকে ধরার পরই জানা যাবে আসলে কেন এত বড় অপকর্ম সে ঘটিয়েছে।”
তিনি বলেন, “এর বিচার অবশ্যই হবে। প্রধানমন্ত্রী তার বাবার বিচার করেছেন, তিনি আমার বাবা হত্যার বিচারও করবেন। কারণ তিনি বাবা হারানোর ব্যথা কষ্ট ভালো করে বুঝেন। আশা করি, তিনি এই নির্মম নিষ্ঠুরতার বিচার অবশ্যই করবেন।”
শুক্রবার (২৪ মে) দুপুরে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে কালীগঞ্জে পৌঁছান তিনি।
ডরিন বলেন, “দিল্লি হাই কমিশনসহ সবার সঙ্গে আমার কথা হচ্ছে। ওখানকার অনেক বড় বড় কর্মকর্তারা আমাকে ফোন দিয়েছেন। তারা নিজেরাই এ বিষয়টা দেখছেন। তারা চেষ্টা করছেন, কিছু না কিছু বের করবেন।”
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের সহযোগিতায় আমি ভিসা করতে দিয়েছি। আমার ভিসাও হয়ে গেছে। আমাকে যখন প্রয়োজন হবে তখনই আমি চলে যাব। এখন পর্যন্ত আপডেট কিছু পায়নি। তারা ইনভেস্টিগেশন করলে প্রথমে সেটা তদন্তের স্বার্থে গোপন রাখেন। পরবর্তীতে তারা সেটা জানান। সুতরাং, তারা তাদের কাজ করুক, আমরা অবশ্যই জানতে পারব।”
এমপি আনোয়ারুলের মেয়ে বলেন, “ওবায়দুল কাদেরসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা জানেন এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার কতটা জনপ্রিয়। আপনারাও জানেন তিনি কালীগঞ্জের মানুষের কাছে কতটা প্রিয় নেতা ছিলেন। কালীগঞ্জবাসী এ হত্যার বিচার চাই।”
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমার কথা হয়েছে। গতকালও কথা বলেছি। আমরা আইনের আশ্রয় নেব। আমরা কোনো শৃঙ্খলাহানী করতে চাই না।”
রাজনীতিতে বাবার জায়গা নিতে চান কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে ডরিন বলেন, “রাজনীতি অবশ্যই করতে চাই। রাজনীতি করার জন্যই তো রাজনীতি শুরু করেছি।”
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আছেন, তিনি যেভাবে আমাকে পরামর্শ দেবেন সেভাবে চলার চেষ্টা করব। এটা অনেক সুদুরপ্রসারী ব্যাপার। এখনই আমি কথা বলতে চাচ্ছি না।”