নতুন অর্থবছরে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জন্য ১,২৩০ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনে এই বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “২০২৪-২৫ অর্থবছরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জন্য এক হাজার ২২৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা প্রস্তাব করছি, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল দুই হাজার ৪০৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।”
নতুন অর্থবছরে বড় ধরনের নির্বাচন না থাকার কারণে এবার ইসির বাজেট কম বলে জানা গেছে। আগামী অর্থবছরে উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে- দুইটি সিটি কর্পোরেশন, চারটি পৌরসভা, ১০টি উপজেলা, ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচন এবং জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকারের উপনির্বাচন; কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ে জাতীয় ভোটার দিবস উদযাপন; ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম গ্রহণ; পেপার লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) প্রস্তুত, মুদ্রণ ও বিতরণ; স্মার্টকার্ড দেওয়া; শূন্য থেকে ১৮ বছর বয়সের নীচে নাগরিক নিবন্ধন ও এনআইডি দেওয়া; এনআইডি সিস্টেমের (সিএমএস, বিভিআরএস, এএফআইএস, স্মার্টকার্ড প্রিন্টিং সফটওয়্যার) অডিট (আইএসও/সমপর্যায়ের) ও ডকুমেন্টেশন; এনআইডি মিনি আর্কাইভ/লাইব্রেরি স্থাপন; কুমিল্লায় অবস্থিত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় তথা আঞ্চলিক সার্ভার স্টেশন ভবনে ফাংশনাল ডিআরএস (ডিজাস্টার রিকভারি সাইট) স্থাপন; এনআইডি সিস্টেমকে ক্রিটিক্যাল ইনফরমেশন ইনফ্রাস্ট্রাকচার (সিসিআই) বা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোর কমন প্ল্যাটফর্মে সংযুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় সাইবার সেন্সর সিস্টেম স্থাপন; এনআইডির তথ্য যাচাই ও শনাক্তকরণ সংক্রান্ত পার্টনার সার্ভিস অব্যাহত রাখা; এবং ইসির প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া ও নির্বাচনী ব্যবস্থাপনায় আইসিটি ব্যবহারের মাধ্যমে উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা।