দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল করে নতুন নির্বাচন দেওয়ার দাবি করেছে বিএনপি। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবির পক্ষে জনমত তৈরি করতে মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) ও পরদিন বুধবার দুই দিনের গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমান।
মঈন খান বলেন, “দেশের জনগণ একচেটিয়া নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। ৬৩টি রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশ নেয়নি। আওয়ামী লীগ ডামি নির্বাচন করেছে; ডামি প্রার্থী দিয়েছে, ডামি পর্যবেক্ষক দিয়েছে, তবু ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিতে পারেনি। সরকারের প্রতি যদি মানুষের আস্থা থাকতো মানুষ নিজেই ভোট দিতে আসতো।”
নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য প্রসঙ্গে মঈন খান বলেন, “প্রথমে বলা হলো ২৭.৫% ভোট পড়েছে। পাশ থেকে এক কর্মকর্তা বলছেন- ৪০% বলতে হবে। জনগণ ডামি নির্বাচন বর্জন করে প্রমাণ করেছে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন ভুয়া। নির্বাচন কমিশন দুই-একটা কেন্দ্র বন্ধ করে প্রমাণ করতে চেয়েছে সুষ্ঠু ভোট হয়েছে।”
ড. মঈন খান বলেন, “আগামীতে যে সরকার গঠন করবে তা হবে- ফর দ্য ডামি, বাই দ্য ডামি, অব দ্য ডামি, এমন ডামি সরকার (জনগণ) চায় না। দেশের মানুষ এ সরকারের পরিবর্তন চায়, কারণ ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে তারা যা সৃষ্টি করেছে তা ‘অলিগার্ক’। জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
নজরুল ইসলাম খান বলেন, “এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন দিতে হবে। যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে। নতুন নির্বাচনের দাবিতে কাল (মঙ্গলবার) থেকেই আমাদের গণসংযোগ কর্মসূচি শুরু হবে।”
ভারত, চীন ও রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানানোর বিষয়ে বিএনপির প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মঈন খান বলেন, “বিএনপি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস করে। যেসব দেশ গণতন্ত্রের সঙ্গে আছে আমরাও তাদের সঙ্গে আছি।”